বয়স লুকানোর অভিযোগে জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে পারেনি ঠাকুরগাঁও দল। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও-এ রোববার মানববন্ধনও করেছে দলের ফুটবলাররা। এদিকে, ফুটবলাররা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইলেও, খানিকটা অনীহাই প্রকাশ করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যের উপর অনেকটা দায় চাপানোর চেষ্টা দলের কোচ ও ম্যানেজারের। এদিকে, বরাবরের মত এখানেও দায় এড়িয়ে গেলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফে।
যেখানে ফাইনালে বাফুফে খেলতে দেয়নি ঠাকুরগাঁও দলকে। অথচ পুরো টুর্নামেন্টে একই ফুটবলারদের নিয়ে খেলে গেছে ঠাকুরগাঁও দল। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, ফাইনালেই কেন এ নিষেধাজ্ঞা?
কারচুপির অভিযোগ অবশ্য স্বীকার করেছে দলের ফুটবলার ও টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে, নিজেদের কাঁধে দায় নিতে নারাজ তারা। উল্টো দায় চাপিয়ে দিলেন অন্যের ওপর।
ঠাকুরগাঁও রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমী কোচ সুদা মুর্মু বলেন, 'ফাইনালে এসে ঠাকুরগাঁদলকে যেভাবে বাদ দিলো এটা ফেডারেশন কতটুকু ভালো করলো এটা ভাবার বিষয়।'
ঠাকুরগাঁও রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমী ম্যানেজার তাজুল ইসলাম বলেন, 'আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মনগড়াভাবে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে হয় এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত।'
ঠাকুরগাঁও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি। যেনো ঠাকুরগাঁও দল সুবিচার পায়।'
পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে দেয়া হলেও, কেনো ফাইনালে ফুটবলারদের খেলতে দেয়া হলো না এমন অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছিলো বাফুফের দিকে। কিন্তু সকল দায় এড়িয়ে গেলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
মূলত বয়সভিত্তিক দলগুলো থেকেই জাতীয় দলে একসময় খেলার সুযোগ পায় ফুটবলাররা। তাই দেশের ফুটবলের স্বার্থে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেনো না হয় এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
No comments:
Post a Comment