উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধসেনা মোতায়েন করছে ভারত

কাশ্মীরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাক-ভারত পরিস্থিতি। এবার উত্তেজনাপূর্ণ পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে যুদ্ধসেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। এ জন্য সেনাবাহিনীর নতুন একটি শাখাও খোলা হচ্ছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, চলতি বছরের শেষদিকে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক এ সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড ব্যাটল গ্রুপসের (আইবিজি) যোদ্ধাদের মোতায়েন করবে ভারত। দেশটির সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে আইবিজি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, হিমাচল প্রদেশের ক্যান্টনমেন্ট শহর ইয়োলে নবম কর্পস পুনর্গঠন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তের জন্য আইবিজি গঠন করবে সেনাবাহিনী। হরিয়ানার চান্দিমন্দিরভিত্তিক পশ্চিমাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের অংশ হল নবম কর্পস, যেটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সবচেয়ে তরুণ যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত। ২০০৯ সালে এটি পুনর্গঠনের দাবি উঠেছিল।

বৃহত্তম এ সেনা কর্পসের প্রধান হবেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে এসব সেনা সদস্য প্রহরায় থাকবেন। তাদের সংকল্পিত যোদ্ধা ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

জ্যেষ্ঠ এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ছয় থেকে আটটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে আইবিজি গঠিত হবে। সর্বদা যুদ্ধের নির্দেশ মেনেই তারা পাহারা দেবেন। তিনি আরও বলেন, একটি আইবিজি গড়ে ২০ থেকে ২৫ সেনা নিয়ে গঠন করা হবে। এ যোদ্ধা ইউনিটকে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হবে। তারা হবে দুর্দমনীয়, অপ্রতিরোধ্য ও অধিক স্মার্ট। প্রত্যেক আইবিজি একজন মেজর জেনারেল ব্যাজধারী কর্মকর্তার নেতৃত্ব মেনে চলবে।

এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর কমান্ডো মোতায়েনের খবর পেয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী। এছাড়া সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙ্কার খনন করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে দেশটি।